তিন গোয়েন্দা সিরিজ যে মৌলিক গল্প নয়, বরং বিভিন্ন বিদেশী গল্প অবলম্বনে রচিত হয় একথা এখন প্রায় সবাই জানেন। পরবর্তীতে বিদেশী বিভিন্ন সিরিজ থেকে গল্প ধার করা হলেও রকিব হাসান 'তিন গোয়েন্দা' শুরু করেছিলেন আমেরিকান লেখক Robert Arthur, Jr. এর The Three Investigators সিরিজ অবলম্বনে। এই সিরিজ আমেরিকায় এতই জনপ্রিয় হয়েছিল যে পরবর্তীতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই সিরিজ অবলম্বনে ধারাবাহিক ভাবে বই প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশে যেমন 'তিন গোয়েন্দা' তেমনই জার্মানী, পোল্যান্ড, স্পেন, ভারত, পাকিস্তানে ভিন্ন ভিন্ন নামে সিরিজটি প্রকাশিত হয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রধান চরিত্রগুলোর নামেও আসে পরিবর্তন।

The Three Investigators সিরিজে প্রধান তিনটি চরিত্রের নাম ছিল 

Jupiter "Jupe" Jones - First Investigator,
Peter "Pete" Crenshaw - Second Investigator,
Robert "Bob" Andrews, Records and Researcher.

যারা 'তিন গোয়েন্দা' সিরিজে যথাক্রমে 'কিশোর পাশা', মুসা আমান' এবং রবিন মিলফোর্ড নামে পরিচিত হয়েছে। ভারতে সিরিজটি প্রকাশিত হয় "Bal Secret Agent 555 Ranga, Ganga & Shirazi" শিরোনামে, যেখানে প্রধান তিনটি চরিত্রের নাম ছিল যথাক্রমে - রাঙ্গা, গঙ্গা এবং সিরাজি। রাঙা হচ্ছে পিট, গঙ্গা হচ্ছে জুপি এবং সিরাজী হচ্ছে বব। ১৯৭০-এর দশকে দিলি্লর ওয়েস্ট প্যাটেল নগরের খেল-খিলাদি প্রকাশনের ব্যানারে এ সিরিজ প্রকাশিত হয়। পাকিস্তানে উর্দু ভাষায় এ সিরিজটি প্রকাশিত হয় ফিরোজানস প্রকাশনীর ব্যানারে। সেখানে ১৯৮০'র দশকের শুরুতে এ সিরিজটি প্রকাশিত হয়। উর্দুতে তিন গোয়েন্দার চরিত্রটি এরকম উমার (জুপিটার জোনস), নাসিম (পিট), আকিব (বব)। তাদের মার্সিডিজ ড্রাইভারের নাম আল্লাহবাদ। তারা বসবাস করে করিমাবাদে। সলিম আহমেদ সিদ্দিকী এবং মকবুল জাহাঙ্গীর হচ্ছেন তিন গোয়েন্দার পাকিস্তান ভার্সনের অনুবাদক। পাকিস্তানের সংস্কৃতি এবং আবহাওয়ার সঙ্গে সমন্বয় করে তারা খুব সুন্দরভাবে সিরিজটি অনুবাদ করেছেন।

ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, সস্নোভাকিয়া, পোলান্ড, জার্মানিতে এ তিন গোয়েন্দা সিরিজ প্রকাশিত হয়েছে। 

এই সিরিজের বই যখন শেষের দিকে তখন রকিব হাসান হাত দেন ব্রিটিশ লেখিকা Enid Blyton এর জনপ্রিয় সিরিজ 'The Famous Five' থেকে রুপান্তর করার কাজে।' তিন বন্ধু' সিরিজের বইগুলো লেখা হয়েছে এই সিরিজ অবলম্বনেই। এই সিরিজের চরিত্রগুলোর বয়স অপেক্ষাকৃত কম আর পটভূমি গ্রামের হওয়ায় রকিব হাসান সিরিজটাকে তিন গোয়েন্দার ছোট বয়সের কাহিনী হিসেবে চালিয়ে দেন। আর প্রধান চরিত্র তিনটির জায়গায় পাঁচটি থাকায় ঢুকে পড়ল ফারিহা এবং টিটু, মাঝেমধ্যে জিনা আর রাফি। ঠিক এর উল্টোটা ঘটল Edward Stratemeyer এর The Hardy Boys সিরিজ অবলম্বনে (এই সিরিজ থেকে রকিব হাসান 'জাফর চৌধুরি' ছদ্মনামে রোমহর্ষক সিরিজেরও বেশ কিছু বই লিখেছেন) বই লেখার ক্ষেত্রে। কারন এই সিরিজের চরিত্রগুলো ছিল অপেক্ষাকৃত বয়সে বড়। কাজেই তিন গোয়েন্দা সাইকেল ছেড়ে গাড়িতে উঠল, প্লেন চালানো শুরু করল, রবিন লাইব্রেরি ছেড়ে ঢুকল মিউজিকের ভূবনে! সবচেয়ে মজার বিষয় ছিল যে, এই সিরিজের মূল চরিত্র ছিল দুটি, দুই ভাই ফ্র্যাঙ্ক এবং জো (রোমহর্ষক সিরিজের রেজা এবং সুজা)। কিন্তু তিন গোয়েন্দা সিরিজের চরিত্র তো তিনজন! কি করা যায়! রকিব হাসানের মুন্সিয়ানা এখানেই, মুসাকে তাঁর মা লাগিয়ে দিলেন বাগান পরিস্কার করার কাজে, অথবা রবিন বসে গেল সাংবাদিক বাবাকে সাহায্য করার জন্য কিংবা মেরি চাচি কিশোরকে লাগিয়ে দিলেন ইয়ার্ডের জঞ্জাল সাফ করার কাজে। মোটকথা, তিনজনকে একসাথে পাওয়া যেতে লাগল খুবই কম। রকিব হাসানের অনুবাদের মুন্সিয়ানায় তা প্রায় ধরাই গেল না, যদিও মাঝে মধ্যে আলোচনা বিভাগে চিঠি আসত এই অভিযোগ করে যে, 'অমুক বইয়ে মুসার ভূমিকা ছিল কম, তমুক বইয়ে রবিনের কিংবা তিন গোয়েন্দা বড় হয়ে গেছে! ইত্যাদি ইত্যাদি! তাঁরপরও সিরিজটায় জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়লনা এতটুকুও, কারন The Hardy Boys এর কাহিনী গুলো ছিল যথেষ্ট মানসম্মত এবং রকিব হাসান রূপান্তরে ছিলেন তারচেয়ে বেশি সাবলীল। ইতিমধ্যেই উইলার্ড প্রাইসের অ্যাডভেঞ্চার সিরিজ অবলম্বনে 'ভীষন্য অরন্য'র মত বেশ কিছু বই লেখা হয়ে গেছে। 'জলদস্যুর দ্বীপ' থেকে শুরু করে ওমর শরীফের সব বই নেয়া হয়েছে ক্যাপ্টেন জোনস এর 'বিগলস' সিরিজ থেকে। কিন্তু সমস্যা শুরু হয়ে গেল তখনই যখন আর মানসম্মত এবং সঙ্গতিপূর্ন বিদেশী সিরিজের খোঁজ পাওয়া গেলনা। তিন গোয়েন্দা সিরিজের মানেরও পতন শুরু হল। সিরিজটাকে চালিয়ে যাওয়ার স্বার্থে (মূলত ব্যাবসায়িক স্বার্থে, কারন তিন গোয়েন্দা সিরিজ ছিল সেবা প্রকাশনীর সবচেয়ে লাভজনক সিরিজ, এমনকি মাসুদ রানার চেয়েও) অসঙ্গতিপূর্ন বিভিন্ন সিরিজ থেকে অনূবাদ করে সিরিজটি চালানো শুরু হল (এখনও হচ্ছে), ঠিক এই পর্যায়ে তিন গোয়েন্দায় আগমন ঘটল ভূত প্রেত, দৈত্য দানব, ডাইনি-জাদুকর সহ নানান শিশুতোষ আর উদ্ভট বিষয়ের। যারা তিন গোয়েন্দার নিম্নমান এবং ধ্বংসের জন্য শামসুদ্দিন নওয়াবকে নিয়মিত শাপশাপান্ত করেন তাঁরা দয়া করে রকিব হাসানের লেখা শেষের দিকের বইগুলা পড়ে দেখবেন - প্রেতাত্মার প্রতিশোধ, পিশাচ কন্যা, সময় সুড়ঙ্গ, পোষা ডাইনোসর, ডীপফ্রিজ, মাছেরা সাবধান। এই বইগুলো রকিব হাসানই লিখেছিলেন, এখনকার শামসুদ্দিন নওয়াবের নামে প্রকাশিত বইগুলোর চেয়ে কতটুকু ভাল ছিল এগুলো? যারা মনে করেন যে রকিব হাসান তিন গোয়েন্দা লিখলেই সেই পুরনো তিন গোয়েন্দার স্বাদ পাওয়া যাবে, তাঁরা বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে রকিব হাসানের লেখা কিশোর থ্রিলার বা 'গোয়েন্দা কিশোর মুসা রবিন' সিরিজের বই গুলো পড়ে দেখতে পারেন - লাস্ট যেটা পড়লাম সেটায়, এক কাঁদার দানো কিশোরের হাতের ঘাম চেটে খেয়ে মারা যায়! আইনি জটিলতার কারণে 'তিন গোয়েন্দা' নাম হয়তো ব্যাবহার করতে পারছেন না রকিব হাসান, কিন্তু 'কিশোর-মুসা-রবিন' এই নামগুলো তো ঠিকই ব্যাবহার করতে পারছেন। তাহলে লেখার এই দৈন্যদশা কেন? কারণটা আগেই বলা হয়েছে - মানসম্মত এবং সঙ্গতিপূর্ন বিদেশী সিরিজের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না অথবা সেই পরিশ্রমটুকুও লেখকেরা করতে চাচ্ছেন না!  সেই সময়ে দেশে কিছু ভুইফোর পেপারব্যাক প্রকাশনী গড়ে উঠেছিল - ক্যাথার্সিস, কথামেলা এইসব। বাজারে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার জন্য রকিব হাসানের মত জনপ্রিয় লেখকের দরকার ছিল তাঁদের (ইতিমধ্যেই শওকত হোসেন, ইফতেখার আমিন, আলীম আজিজ সহ সেবার অনেক প্রাক্তন লেখকই কথামেলায় যোগ দিয়েছিলেন)। স্বাভাবিক ভাবেই সম্পূর্ন পেশাদার লেখক রকিব হাসানও সেবার পাশাপাশি বাইরে থেকেও তিন গোয়েন্দা লিখতে চাইলেন (কারণটা আগেই বলা হয়েছে)। কিন্তু সমস্যা হল তিন গোয়েন্দার কপিরাইট সেবা প্রকাশনীর। এক পর্যায়ে সেবা প্রকাশনীর সাথে দীর্ঘ দিনের সুসম্পর্কের কিছুটা অবনতি ঘটেছিল রকিব হাসানের। এক পর্যায়ে ছাড়লেন নিজের প্রতিষ্ঠা করা সিরিজ 'তিন গোয়েন্দা'। এসব ঘটনা নিয়ে বাজারে অনেক গুজব চালু আছে। রকিব হাসান এবং কাজী আনোয়ার হোসেনের প্রচারবিমুখ স্বভাবের সুযোগ অনেকেই নানা রকম গালগপ্পো ফেদেছেন। সেবা ছাড়লেও 'কিশোর মুসা রবিন' সিরিজ নামে (পেপার ব্যাক বাদে, তবে পেপারব্যাকে অন্যান্য কিশোর থ্রিলার লিখতে পারবেন) বই প্রকাশ করার অধিকার থাকল রকিব হাসানের। রকিব হাসান কথামেলা, ক্যাথার্সিস থেকে 'কিশোর গোয়েন্দা' বা 'কিশোর ক্লাব' সিরিজ (অনিক, আবির, হিপো) শুরু করলেন, কিন্তু মানসম্মত গল্পের অভাবে কোনটাই আশানুরুপ জনপ্রিয়তা লাভে ব্যার্থ হল। ফলে কয়েকটা বই প্রকাশের পরই আর আলোর মুখ দেখল না সিরিজ দুটো। তবে দাম বেশি হওয়া সত্ত্বেও হোয়াইট প্রিন্টে প্রকাশিত 'কিশোর মুসা রবিন' সিরিজের বইগুলো মোটামুটি চলল রকিব হাসান এবং 'কিশোর-মুসা-রবিন'র সম্মিলিত জনপ্রিয়তার কারণে। এদিকে রকিব হাসান যুগ শেষ হবার পর তিন গোয়েন্দা পরল 'Ghost Writer'দের (যারা নিজেদের নাম গোপন করে অন্যের নামে বই লেখার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন) হাতে। চুক্তিবদ্ধ লেখকরা বই লেখেন (বলা ভাল, অনুবাদ করেন) আর তা প্রকাশিত হতে লাগল শামসুদ্দিন নওয়াবের(সেবা প্রকাশনীর হাউসনেম, এই নামের আড়ালে বিভিন্ন লেখক লেখেন) ) নামে, এখনও এই ধারা অব্যাহত আছে। রকিব হাসানের পর সিরিজটি কেবলমাত্র একজন লেখকের নামে প্রকাশ করার জন্য এই ব্যাবস্থা নেয়া হয়।এটি নতুন কোন বিষয় নয়, পৃথিবীতে বহু সিরিজ এভাবে লেখা হত, এখনও হয়। তিন গোয়েন্দার মূল সিরিজ থ্রি ইনভেস্টিগেটরস এর মাত্র ১০ টা কাহিনী রবার্ট আর্থার লিখেছিলেন, বাকি ৪৫ টা লিখেছেন গোস্টরাইটারেরা। দি হার্ডি বয়েজ এরও অনেক কাহিনী গোস্ট রাইটাররা লিখেছেন। এত কিছুর পরেও যখন একক বইগুলো তেমন বিক্রি হচ্ছিলনা তখন কাজী শাহনূর হোসেনের পরামর্শে তিনটি নতুন কাহিনী একসাথে করে নতুন ভলিউম প্রকাশ শুরু হল (আগের ভলিউম গুলো হত পুরানো তিনটি করে বই নিয়ে)। ইতিমধ্যেই সেবার অন্যান্য সিরিজ যেমন, রোমহর্ষক, গোয়েন্দা রাজু, নীল ও ছোটমামা (কিশোর ও হীরু চাচা), কিশোর হরর থেকেও সব বই তিন গোয়েন্দায় রুপান্তর করা হয়ে গেছে। এভাবেই চলছে এখনও। পুরানো মান অভিমান ভুলে রকিব হাসান আবার অনিয়মিত ভাবে তিন গোয়েন্দা লেখা শুরু করেছেন সেবা থেকে (নতুন লেখা গুলোর বেশির ভাগই কথামেলা/ক্যাথার্সিস এবং বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাগুলোর তিন গোয়েন্দা ভার্সন), কিন্তু মানসম্মত বিদেশী কাহিনির অভাবে সেই আগের মজা আর পাওয়া যাচ্ছেনা। অনেকেই ধারনা করেন যে সেবা থেকে সাম্প্রতিক সময়ে রকিব হাসানের নামে বের হওয়া বইগুলোর লেখক আসলে রকিব হাসান না, কেননা এধরনের নিম্নমানের লেখা রকিব হাসান লিখতে পারেন না। এটার উত্তরে নতুন কিছু বলার নেই, আগেই বলা হয়েছে। সেবা থেকে সাম্প্রতিক সময়ে তিন গোয়েন্দায় অ্যাডাপশন করা হচ্ছে 'ফারাওয়ে ট্রিজ' এবং 'স্পুকসভিল' সিরিজ। বর্তমানে করা হচ্ছে 'গুজবাম্পস' সিরিজ থেকে যা নিতান্তই বাচ্চাদের উপযোগী। মজার ব্যাপার হচ্ছে তিন গোয়েন্দার মূল সিরিজ, থ্রি ইনভেস্টিগেটরস'ও এখনও বের হয়! তবে শুধু জার্মানীতে, বছরে ৬ থেকে ৮ টা বই। এমনকি হার্ডি বয়েজ'ও এখনও বের হয়। তবে এখনকার বইগুলো আগের মত আর এত ভাল পিওর মিস্ট্রি বা ডিটেকটিভ ধরনের হয় না, বরং ফ্যান্টাসী/সাইফাই ধরনের হয়।  রকিব হাসান 'প্রথমা' থেকে যেগুলো লিখেছেন (রহস্যের দ্বীপ, হাইপারসনিক রহস্য, গোল্ডেন বাইক রহস্য), প্রত্যেকটাই এখনকার হার্ডি বয়েজের রূপান্তর। হার্ডি বয়েজের 'হাইপারসনিক সিক্রেট'র অবলম্বনে রকিব হাসান প্রথমা থেকে 'হাইপারসনিক রহস্য' লিখেছেন। আর জার্মান থ্রি ইনভেস্টিগেটরসের ইংরেজি সংস্করণ দুর্লভ হওয়ায় এটি থেকেও এডাপ্টেশন সম্ভব হচ্ছে না। এই বইগুলোর কিছু আমেরিকান সংস্করন বের হয়েছে, যেগুলো থেকে ইতিমধ্যেই তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করা হয়ে গেছে (ভূতুড়ে বিমান, ড্রাকুলার কফিন প্রভৃতি)। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সেই পুরনো তিন গোয়েন্দা কি আর ফিরে আসবেনা! উত্তর ভবিষ্যতের হাতে। অন্যান্য সিরিজগুলো লেখকের মৃত্যু এবং নানা কারনে বন্ধ হয়ে গেছে। আর তিন গোয়েন্দার মূল যে সিরিজ Robert Arthur, Jr. এর The Three Investigators, (এটি পরবর্তীতে শুধু গোস্ট রাইটাররাই লিখতেন, তবে তা ছিল মানসম্মত) লেখকের মৃত্যুর পর সেই সিরিজ (মূল আমেরিকান সিরিজ) আটকে আছে লেখকের বংশধর এবং প্রকাশকদের মধ্যে সৃষ্ট আইনি জটিলতার কারনে। এই জটিলতা মিটে সিরিজটা আবার নতুন করে শুরু হবে (যদিও সে সম্ভাবনা খুবই কম) সেই আশা করা ছাড়া আমাদের আর তেমন কিছুই করার নেই। তবে তারপরও আশার কথা, ভালমত খোঁজাখুঁজি করলে এখনও বেশকিছু ভালমানের বিদেশী কিশোর গোয়েন্দা সিরিজের বই পাওয়া যাবে। তবে হয়তো বইগুলো তিন গোয়েন্দায় রুপান্তর করতে গেলে বিস্তর পরিবর্তন এবং পরিশ্রম করতে হবে। সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে, সেই আগের মত যত্ন করে লিখতে হবে। তিন গোয়েন্দার আগের সুনামের জোড়ে, তিনটা করে নতুন কাহিনী একসঙ্গে দেয়াতে আর কুইজ, এমাসের তিন গোয়েন্দা সহ নানারকম আয়োজনের কারণে বর্তমান বইগুলো মোটামুটি ভালই বিক্রি হয়, বিশেষ করে অল্প বয়সী বাচ্চাদের কাছে ।

আশা করি তিন গোয়েন্দার সুদিন আবার ফিরবে। হোপ ফর দ্য বেস্ট!
লিখেছেন : রাতুল খান