পর্ব ১
১. তিগোর প্রধান কিশোর পাশা থাকে চাচা-চাচীর কাছে। ছোটবেলায় মোটর এক্সিডেন্টে তার মা-বাবা মারা যান। তারপর থেকে চাচা রাশেদ পাশা আর চাচী মারিয়া পাশার কাছেই মানুষ। চাচা-চাচী স্যালভিজ ইয়ার্ডের মালিক। তাঁরা নিঃসন্তান। ইয়ার্ডে ব্যাভারিয়ান দুই ভাই বোরিস এবং রোভার কাজ করে।এই হলো কিশোরের পার্মানেন্ট ফ্যামিলি মেম্বারেরা। কিছু গল্পে কিশোরের চাচা হিরণ পাশাকে পাওয়া যায় যিনি একজন বিজ্ঞানী। লধশের গল্পগুলোতে মিশা নামে কিশোরের এক খালাতো বোন এবং বিভিন্ন গল্পে ডন নামে খালাতো ভাইকে পাওয়া যায়। দুজনেই মেরিচাচীর ভাইবোনের সন্তান। নিকি পাঞ্চ নামে মেরিচাচীর আরেক বোনের ছেলেকেও তিন-চারটা গল্পে পাওয়া যায় যিনি গাড়ির বা ইঞ্জিনের জাদুকর নামে পরিচিত।এবং বাংলাদেশে কিশোরের মামা আরিফুর রহমানের কথাও পাওয়া যায়।
কিশোরের পোষা দুটি কুকুরের কথা জানা যায়। গ্রীনহিলসের গল্পগুলোতে টিটু জাতে স্কটি এবং বাঘা নামে আরেকটি কুকুরের উল্লেখ আছে। কিশোর গাড়ি কেনে কিন্তু সেগুলো টিকে না বলে তাকে সাইকেলে, মুসা-রবিনের গাড়িতে বা পিক আপে বেশি পাওয়া যায়।
২. মুসা আমান তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। মুসার বাবার নাম রাফাত আমান যিনি একজন উঁচুদরের সিনেমা টেকনিশিয়ান। মা গৃহিণী। মুসার খালাতো বোন ফারিহা তাবাসসুম হোসাইন এর কথা সাধারণত গ্রীনহিলসের গল্প গুলোতেই পাওয়া যায়। নানা গল্পে মুসার আরো কিছু কাজিনের কথা পাওয়া যায় তন্মধ্যে লধশের শত্রু বাবলি ছাড়া আর কেউ তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। মুসাও একটা কুকুর পোষার চেষ্টা করে, চিতা নাম যাকে মাত্র তিনটি গল্পে পাওয়া যায়। মুসাকে জেলপি, ক্যাডিলাক, ফোক্সওয়াগন প্রভৃতি গাড়ি চালাতে দেখা যায়। মাঝে মাঝে তার পোষা ঘোড়া ফায়ার কিংবা কমেটকেও পাওয়া যায়।
৩. রবিন ও তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা রজার মিলফোর্ড সাংবাদিক এবং মা শেলী মিলফোর্ড মূলত গৃহিণী হলেও কিছু গল্পে তাঁকে টিচার এবং সাংবাদিক হিসেবে দেখা গেছে। রবিনের খালাতো বোন ক্যাসিকে নিয়ে একটা ভাল গল্প আছে। তার গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজিনের কথা তেমন নেই। রবিন এর গাড়ি ফোক্স ওয়াগন। সে লাইব্রেরি এবং গানের কোম্পানিতে পার্টটাইম জব করে।
৪. তিন গোয়েন্দার নিজেদের প্রথম পরিচয় ভলিউম ২৬ এর ঝামেলা গল্পে। সেই গল্পে কিশোর, মুসা, রবিন, টিটু এবং ফারিহা থাকে। একই গল্পে ফগর্যাম্পারকট এর সাথেও পরিচয়।
৫. জরজিনা পার্কারের সাথে প্রথম পরিচয় ভলিউম ২/১ এর প্রেতসাধনা গল্পে। তিগো প্রথম গোবেল বীচে যায় একই ভলিউমের সাগরসৈকত গল্পে।
৬. প্রথম বাংলাদেশে আসে ভলিউম ১৩ এর ঢাকায় তিন গোয়েন্দা গল্পে।
৭. প্রথম গাড়ি চালায় ভলিউম ১৫ এর গাড়ির জাদুকর গল্পে।
৮. ভিন্ন ধর্মী উপসিরিজ এর মত কিছু গল্প এবং সিক্যুয়েল আছে তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভলিউম ৭১ এবং ৭৪ এর পিশাচবাহিনী এবং মহাকাশের কিশোর। ভলিউম ২৮ এবং ২৯ এর সৈকতে সাবধান এবং ভ্যাম্পায়ারের দ্বীপ, ভলিউম ৪১, ৪৩ এবং ৬০ এর সময়সুড়ঙ্গ, পিশাচকন্যা এবং টাইম ট্র্যাভেল। ভলিউম ২৪ এর মায়ানেকড়ে এবং প্রেতাত্মার প্রতিশোধ এবং ডেথসিটির গল্পগুলো যেগুলোতে রোডা নামে আরেকটা উল্লেখযোগ্য চরিত্র পাওয়া যায়।
৯. রোডার সাথে প্রথম পরিচয় ভলিউম ৬৪ এর মায়াপথ গল্পে।
১০. তিন গোয়েন্দার দুই প্রধান শত্রু টেরিয়ার ডয়েল এবং ডক্টর মুন। টেরিয়ার ডয়েলের সাথে প্রথম পরিচয় তিন গোয়েন্দা গল্পেই, ভলি ১/১। ডক্টর মুনের সাথে প্রথম দেখা মায়ানেকড়ে, ভলি ২৪.
১১. নকল কিশোর, ভলি ১৭ তে অবিকল কিশোরের মত দেখতে আরেক কিশোরের দেখা পাওয়া যায় আর ভলি ১৮ এর ওয়ার্নিং বেল গল্পে কিশোরের মত কণ্ঠস্বরের আরেকজনকে পাওয়া যায়।
পর্ব ২
১. কিশোরকে তিন গোয়েন্দার প্রধান বানানো হয় ভলিউম ৪৭ এর নেতা নির্বাচন গল্পে। এর আগের দুইটা গল্প (ঝামেলা,ভলি ২৬ এবং বিড়াল উধাও, ভলি ৪৫) মুসা নেতা থাকে।
২. তিন গোয়েন্দার প্রথম কার্ড ছাপানো হয় তিন গোয়েন্দা (ভলিউম-১/১) গল্পে। প্রথম কার্ডে তিনটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন থাকে। প্রেতসাধনা(ভলি২/১) এ একটা আশ্চর্যবোধক চিহ্ন দিয়ে কার্ড ছাপানো হয়। পরে আবার প্রশ্নবোধকে ফিরে যায়।
৩. চিত্রপরিচালক ডেভিস ক্রিস্টোফার এর মাধ্যমে তি গো সংস্থা গঠন করার পর প্রথম কেসটা পায়, সেটাও ভলি ১/১ এর তিন গোয়েন্দা গল্পে।
৪. তিন গোয়েন্দা ঘোড়া চালানো শেখে জরজিনা পার্কারের কাছ থেকে। এর উল্লেখ আছে ভলিউম ২/২ এর সবুজ ভূত গল্পে। একই গল্পে পুলিশ চীফ ইয়ান ফ্লেচার এর কাছেও সার্টিফিকেট পায়।
৫. কিশোর এর আরেক নাম মোটুরাম। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন ভলিউম ১২ এর পাগল সংঘ গল্পে।
৬. জরজিনা পার্কারের পোষা কুকুর রাফিয়ান জাতে মাংগরল। এছাড়া কমেট নামে তার একটি মাদী অ্যাপালুসা ঘোড়া আছে।
৭. মুসার নানার নাম মিস্টার আরমান রাবাত। পাওয়া যায় ভলিউম ২৮ এর ডাকাতের পিছে গল্পে।
৮. মুসার গার্ল্ফ্রেন্ড হিসেবে ফারিহা গিলবার্ট/ডিকটারকে পাওয়া যায় ভলিউম ১৮ এর খাবারে বিষ এবং ভলিউম ১৯ এর গোরস্থানে আতংক গল্পে।
৯. নানা গল্পে 'পাহাড়ী ছাগল' রবিনের পা ভাঙার কথা আছে। এছাড়া ভলি ১/১ এর রূপালী মাকড়সা গল্পে মাথায় আঘাত পেয়ে মস্তিষ্কবিকৃতির মত এক ধরনের উপসর্গ দেখা দেয় তার।
১০. কিশোরের পেটের সমস্যার কথা পাওয়া যায় ভলি ১৮ এর খাবারে বিষ গল্পে। এছাড়া ভলি ২৩ এর গেল কোথায় গল্পে তার মারাত্মক জ্বর হয়। মানসিক ভারসাম্য হারায় ভলি ২৪ এর প্রেতাত্মার প্রতিশোধ এবং এবং মানসিক হাসপাতালে ভর্তি থাকে ভলি ৪৮ এর শ্বাপদের চোখ গল্পে। কানের অসুখ হয় ভলি ৩২ এর রাত্রি ভয়ঙ্কর গল্পে।
১১. মুসাও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে ভলিউম ৪০ এর গ্রেট মুসাইয়াসো গল্পে।
১২. ভলিউম ১২ এর ভাঙা ঘোড়া গল্পে টেরিয়ার ডয়েল এর পরিবারের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে হয় তিন গোয়েন্দাকে।
পর্ব ৩
১. বিখ্যাত গোয়েন্দা ভিক্টর সাইমনের সাথে তিন গোয়েন্দার পরিচয় হয় খোঁড়া গোয়েন্দা(ভলিউম-১০) নামক গল্পে।
২. গোয়েন্দার পাইলট ল্যারি কংকলিন অনেক কেসে তিন গোয়েন্দাকে সহায়তা করেছে। আর মিস্টার সাইমনের ভিয়েতনামী চাকর নিশান জাং কিম এর রান্নার অত্যাচারের কাহিনী তো সর্বজনবিদিত।
৩. বাজিতে জেতা রোলস রয়েসের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর ও সেটার খরচ যোগান দেয় অগাস্ট অগাস্ট, রক্তচক্ষু (ভলি২/১) এ। খাঁটি ইংরেজ শোফার হ্যানসনের সাথে যদিও প্রথম পরিচয় তিন গোয়েন্দা গল্পেই।
৪. তিন গোয়েন্দার কয়েকজন ঘনিষ্ট বন্ধুদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিড ওয়াকার, টমাস মার্টিন, রিচি বুমার, শ্যারন শ্যাফটন, ডানা, রেমন র্যাফটন।
৫. ডানাকে নিয়ে শান এর গ্রীনহিলসের পটভূমিতে বেশ কিছু আধিভৌতিক গল্প আছে।
৬. ফরাসি চিত্রচোর এবং গরীবের রবিনহুড অ্যান্থনি শোঁপার সাথে প্রথম পরিচয় কাকাতুয়া রহস্য গল্পে, ভলি ৩/২. আরেকটি গল্পে তাঁকে পাওয়া যায়, সেটা হচ্ছে ভলি ৯ এর ঘড়ির গোলমাল।
৭. শামসুদ্দিন নওয়াব কর্তৃক সৃষ্ট গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ডিক কার্টার এবং মুসার পোষা কাকাতুয়া কিকো দুজনের ই আবির্ভাব ভলিউম ৯৬ এর দ্বীপরহস্য গল্পে।
৮. জরজিনা পার্কার কিডন্যাপড হয় ভলিউম ৫৪ এর স্বর্গদ্বীপ গল্পে। জিনা বাংলাদেশে আসে ভলিউম ৫৬ এর জয়দেবপুরে তিন গোয়েন্দা গল্পে।
৯. টকার এবং নটিকে প্রথম পাওয়া যায় ভলিউম ৭ এর বোম্বেটে গল্পে। পরবর্তীতে ভলিউম ২১ এর কালোহাত এবং ভলিউম ২২ এর চিতা নিরুদ্দেশ গল্পেও এদের পাওয়া যায়।
১০. রবিনের সাথে কিশোর-মুসার এবং জিনার সাথে তিন গোয়েন্দার ভুল বোঝাবুঝি হয় যথাক্রমে ভলিউম ৩৪ এর কিশোর জাদুকর এবং ভলিউম ৭৬ এর মৃত্যুর মুখে তিগো গল্পে। যদিও অচিরেই মিটে যায় তা।
CONTRIBUTOR : Shotabdi Bhattacharjee